
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে
ঢাকা-১ (দোহার-নবাবগঞ্জ) আসনে
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী মনোনীত প্রার্থী
ব্যারিস্টার
মুহাম্মদ নজরুল ইসলাম
পরিবর্তনের পথে, উন্নয়নের যাত্রায় আপনার ভোট হোক, ইনসাফের দাড়িপাল্লায়।

দোহার-নবাবগঞ্জের কৃতিসন্তান
ব্যারিস্টার মুহাম্মদ নজরুল ইসলামের বাড়ি নবাবগঞ্জ উপজেলার কলাকোপা ইউনিয়নের বাঘহাটি গ্রামে। তিনি সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারের সন্তান। পিতার নাম- মরহুম আব্দুল হামিদ। এই জনপদের মাটি, নদী ও মানুষের স্নেহেই তাঁর বেড়ে ওঠা এখানকার মাঠ-ঘাট, হাট-বাজার আর গ্রামীণ মানুষের অনন্ত ভালোবাসার মাঝে তিনি শৈশব-যৌবনের স্বপ্নগুলোকে নির্মাণ করেছেন।
লেখা-পড়ায় এগিয়ে ছিলেন ছোট বেলা থেকেই। ইসলামিক ইউনিভার্সিটি, কুষ্টিয়া থেকে আইন বিষয়ে এলএলবি ও এলএলএম-এ প্রথম শ্রেণিতে প্রথম স্থান অর্জন করে তিনি প্রধানমন্ত্রীর স্বর্ণপদক এবং জাতীয় অগ্রণী ব্যাংক বৃত্তি লাভ করেন। দীনী শিক্ষায়ও বিশেষভাবে মনযোগী ছিলেন। সরকারি মাদরাসা-ই-আলিয়া, ঢাকা হতে প্রথম শ্রেণীতে কামিল ডিগ্রি লাভ করেন।
এরপর উচ্চশিক্ষা লাভের জন্য যুক্তরাজ্যে গমন করেন। ইউনিভার্সিটি অব লন্ডন থেকে এলএলবি, সিটি ইউনিভার্সিটি অব লন্ডন থেকে পোস্ট গ্র্যাজুয়েট ডিপ্লোমা ইন লিগ্যাল প্রফেশন-এ Very Competent গ্রেড অর্জন করেন এবং বিশ্ববিখ্যাত মিডল টেম্পল থেকে Bar-at-Law অর্জন করেন।

ছাত্র রাজনীতিতে সরব উপস্থিতি
জনাব ব্যারিস্টার নজরুল ইসলাম নেতৃত্বের গুণ-বৈশিষ্ট্যে উজ্জ্বল ছিলেন সর্বক্ষেত্রে। দেশের ছাত্রসমাজকে দক্ষ, যোগ্য, সৎ এবং আদর্শবান হিসেবে গড়ে তোলার অনন্য প্লাটফর্ম শহীদী কাফেলা ‘বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির’-এ যুক্ত ছিলেন ছাত্রজীবনে সকল স্তরেই। তিনি ছাত্রশিবিরের সরকারি মাদরাসা-ই-আলিয়া, ঢাকা ও ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়- কুষ্টিয়া শাখার সভাপতি এবং সবশেষে ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সেক্রেটারি জেনারেলের দায়িত্ব পালন করেন। তিনি মাদরাসা ছাত্র আন্দোলন পরিষদের কেন্দ্রীয় আহবায়কের দায়িত্বও পালন করেন।
ছাত্র-জনতার অধিকার আদায়ের সংগ্রামে নেতৃত্ব দিতে গিয়ে জেল-জুলুম ও কারাভোগের স্বীকার হয়েছেন। বারবার মৃত্যুর মুখোমুখি দাঁড়িয়েও ছাত্র-জনতার অধিকার প্রতিষ্ঠার এই আন্দোলন থেকে কখনো পিছপা হননি। ২০০১ সালের ফ্যাসিবাদ বিরোধী আন্দোলনে সর্বদলীয় ছাত্র-ঐক্যের অন্যতম কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ছাত্র জীবনে তিনি সংবাদিকতার সাথেও যুক্ত ছিলেন এবং মাসিক ‘ছাত্র সংবাদ’, ‘স্টুডেন্ট ভিউজ’ এবং ‘জুভিনাল ভয়েস’-এর সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন।
পেশাজীবনের উৎকর্ষতা
এশিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের শিক্ষক হিসেবে কর্মজীবনের সূচনা করেন জনাব নজরুল ইসলাম। প্রবাস জীবনে যুক্তরাজ্যে আইনপেশায় যুক্ত হন। পাশাপাশি যুক্তরাজ্যের লন্ডন স্কুল অফ কমার্স অ্যান্ড আইটিতে খণ্ডকালীন শিক্ষক হিসেবেও কাজ করেন। একইসাথে বাংলাদেশ বার কাউন্সিল, ঢাকা বার এসোসিয়েশনের সদস্য ও ২০০১ থেকে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের একজন গর্বিত আইনজীবী হিসেবে তালিকাভুক্ত হন।
ইন্টারন্যাশনাল বার এসোসিয়েশন এবং এর অন্তর্ভুক্ত ইউরোপিয়ান রিজিওনাল ফোরাম, ফোরাম ফর ব্যারিস্টারস এ্যান্ড এ্যাডভোকেটস-এর সদস্য এবং বার কাউন্সিল ইংল্যান্ড এ্যান্ড ওয়েলস, হিউম্যান রাইটস ল’ইয়ার্স অ্যাসোসিয়েশন ইউকে, দ্যা অনারেবল সোসাইটি অব মিডল টেম্পল এবং অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল সদস্য এবং ‘সেভ বাংলাদেশ’-এর প্রেসিডেন্ট হিসেবে বিশ্বজুড়ে বাংলাদেশের মানবাধিকার আন্দোলনের কণ্ঠস্বর হিসেবে সোচ্চার রয়েছেন।

নিজ জনপদ থেকে বিশ্বমঞ্চে
তাঁর পেশাগত জীবনের মূল শক্তি ‘মানবসেবা’। বাংলাদেশে আইনের প্রয়োগক্ষেত্র থেকে শুরু করে ইউরোপের সভা-সম্মেলন পর্যন্ত তিনি সর্বদা প্রবাসী বাংলাদেশিদের অধিকার ও মর্যাদা রক্ষার জন্য সোচ্চার ছিলেন।
পৃথিবীর প্রায় ৩০টিরও বেশি দেশে প্রবাসী বাংলাদেশিদের সুখ-দুঃখের কথা বলেছেন, আন্তর্জাতিক অঙ্গনে তুলে ধরেছেন আমাদের সংগ্রাম ও স্বপ্ন। একই সাথে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর যুক্তরাজ্য ও ইউরোপের মূখপাত্র হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
ইউরোপের বিভিন্ন কমিউনিটি অর্গানাইজেশনে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেন। তিনি প্রতিষ্ঠা করেছেন, বিভিন্ন সামাজিক ও কল্যাণমূলক সংগঠন এবং পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে উচ্চশিক্ষারত বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের একজন ক্যারিয়ার কোচ হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। যুক্তরাজ্যের সারে কাউন্টির সাটন সেন্ট্রাল মাসজিদের খতিব হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন দীর্ঘদিন।
বেদনা-বিদূর প্রবাস জীবন
প্রিয় জন্মভূমির জন্য অকৃত্রিম ভালোবাসা ও কর্তব্যজ্ঞান কখনো বিস্মৃত হননি জনাব ব্যারিস্টার নজরুল ইসলাম। বিদেশ থেকে উচ্চশিক্ষা নিয়ে দেশের জন্য কাজ করবেন, মানুষের সেবায় নিজেকে নিবেদন করবেন – এটাই ছিলো তাঁর প্রত্যাশা। কিন্তু দীর্ঘ স্বৈরশাসনের যাঁতাকলে জাতি যখন পিষ্ট তখন তিনিও আটকা পড়েন অনাকাঙ্ক্ষিত প্রবাস জীবনে। নিজের জন্মদাতা পিতা ও মমতাময়ী মায়ের মৃত্যুতে জানাযায় পর্যন্ত শরিক হতে দেয়া হয়নি।
জালিমের রোষাণলে পরম শ্রদ্ধেয় শ্বশুর শহীদ মাওলানা মতিউর রহমান নিজামী যখন মিথ্যা মামলায় আটক ছিলেন, নিজে আইনজীবী হয়েও তাঁর পক্ষে আইনি লড়াইয়ে অংশ নিতে পারেননি; পারেননি তাঁর জানাযায়ও উপস্থিত থাকতে। ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ফ্যাসিস্ট জালিম শাসক শেখ হাসিনা ক্ষমতা ছেড়ে পালানোর পর জনাব নজরুল ইসলাম কালবিলম্ব না করে ফিরে এসেছেন পৈত্রিক ভিটায়। প্রতিশোধ নয়; ক্ষমা ও ভালোবাসার পরশে নিজ মাতৃভূমিকে নতুন রূপে সাজাতে হাতে নিয়েছেন বহুমূখী কর্ম-পরিকল্পনা। এগিয়ে যেতে চান, স্বপ্ন ও বিশ্বাস নিয়ে।
দোহার-নবাবগঞ্জের ভবিষ্যৎ
আমাদের দোহার-নবাবগঞ্জ অমিত সম্ভাবনার অফুরন্ত ভাণ্ডার। আজকের তরুণ প্রজন্মই সেই সম্ভাবনার আলো। এই প্রজন্মই প্রযুক্তির দক্ষতা, অভিনব উদ্যোগ আর শিল্প-সংস্কৃতির অনবদ্য সৃজনশীলতা নিয়ে বিশ্বমঞ্চে দাঁড়াতে প্রস্তুত। কর্মসংস্থান, শিক্ষা ও প্রশিক্ষণের নতুন উদ্যোগ তরুণদের জন্য খুলে দিবে আত্মবিশ্বাসী ও স্বাবলম্বী হওয়ার নব-দিগন্ত। এখানকার শিক্ষার্থীরাই হয়ে উঠবে আগামী দিনের বিজ্ঞানী, আইনজীবী, শিল্পী, বিশ্বমানের উদ্যোক্তা এবং প্রেরণার স্রোতধারা।
অঙ্গীকার নয়; কর্মে বিশ্বাসী
ব্যারিস্টার নজরুল ইসলাম প্রথাগত অঙ্গীকার নয়; তিনি এসেছেন, মানবতার প্রতি দায়বদ্ধতা ও বাস্তবমূখী কর্মপরিকল্পনা নিয়ে; যেখানে আছে- দোহার-নবাবগঞ্জের প্রতিটি ঘর, প্রতিটি পরিবার, প্রতিটি কৃষক-শ্রমিক মেহনতী মানুষের স্বপ্নের বাস্তবায়ন।
তাঁর স্বপ্ন, এই জনপদের প্রতিটি মানুষ যেনো সম্মান ও অধিকার নিয়ে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে পারে। এই জনপদের হিন্দু-মুসলিম-বৌদ্ধ-খ্রিষ্টানসহ জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সবার ন্যায্য অধিকার ও সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করাই তাঁর প্রত্যয়।
প্রিয় দোহার-নবাবগঞ্জবাসী!
আসুন, সবাই মিলে একটি দুর্নীতি ও সন্ত্রাসমুক্ত, শান্তিপূর্ণ এবং ইনসাফভিত্তিক এক অনন্য সমাজ গড়ে তুলি। সৎ ও যোগ্য নেতৃত্বকে বরণ করি অদম্য সাহসিকতায়। আমাদেরই প্রিয় ভাই ব্যারিস্টার মুহাম্মদ নজরুল ইসলামের হাতে তুলে দেই দোহার-নবাবগঞ্জের উন্নয়ন, সমৃদ্ধি ও অধিকার আদায়ের পতাকা। সৎ ও যোগ্য নেতৃত্বে এগিয়ে যাক আমাদের এই প্রিয় জনপদ, প্রিয় মাতৃভূমি বাংলাদেশ।