ঢাকা-১ আসনের (দোহার-নবাবগঞ্জ) আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশ তাদের প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করেছে নবাবগঞ্জের ব্যারিস্টার মাওলানা মুহাম্মদ নজরুল ইসলামকে। তিনি বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সেক্রেটারি জেনারেল এবং যুক্তরাজ্য ও ইউরোপ জামায়াতে ইসলামীর মুখপাত্র হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
এই প্রথমবারের মতো ঢাকা-১ আসনে জামায়াতে ইসলামীর মনোনীত প্রার্থী মাঠে নামলেন। অতীতে এ আসনে আওয়ামী লীগের সালমান এফ রহমান, অ্যাডভোকেট আব্দুল মান্নান খান এবং জাতীয় পার্টির অ্যাডভোকেট সালমা ইসলাম সংসদ সদস্য ছিলেন।
উল্লেখ্য, ২০০৮ সালের আগে ঢাকার দোহার ও নবাবগঞ্জ আলাদা সংসদীয় আসন ছিল। সে সময় বিএনপি ও আওয়ামী লীগ প্রার্থী দিয়েছিল, কিন্তু জামায়াতের কোনো প্রার্থী ছিল না। এবার জামায়াতের প্রার্থী ঘোষণার পর থেকেই এলাকায় রাজনৈতিক অঙ্গনে আলোচনার ঝড় উঠেছে। চায়ের আড্ডা থেকে শুরু করে সামাজিক পরিসর—সবখানেই নতুন প্রার্থীকে ঘিরে আলোচনা চলছে। অনেকেই মনে করছেন, এ আসনে এবার নতুন সমীকরণ তৈরি হতে পারে।
দোহার-নবাবগঞ্জের রাজনীতিতে বিএনপির প্রয়াত নেতা ব্যারিস্টার নাজমুল হুদা এবং বিএনপির প্রয়াত সাংসদ আব্দুল মান্নান উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রেখেছিলেন। এবার জামায়াতও এ আসনকে নিজেদের নিয়ন্ত্রণে আনতে ব্যাপক কার্যক্রম চালাচ্ছে। দলীয় শীর্ষ নেতাদের অংশগ্রহণে বিভিন্ন সভা-সমাবেশ আয়োজনের মাধ্যমে স্থানীয় ভোটব্যাংককে সক্রিয় রাখার চেষ্টা চলছে।
মনোনয়ন পাওয়ার পর ব্যারিস্টার নজরুল ইসলাম গত কয়েকদিনে দোহার-নবাবগঞ্জের জামায়াতের রুকন ও সহযোগী সদস্যদের সঙ্গে একাধিক কর্মীসভা ও সমন্বয় বৈঠক করেছেন। এ ছাড়া স্থানীয় সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি বলেন, অবহেলিত দোহার-নবাবগঞ্জের সার্বিক উন্নয়ন, শিক্ষা খাতের সংস্কার, রাজনৈতিক ও সামাজিক পরিবর্তনসহ অবকাঠামোগত উন্নয়নে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে কাজ করতে চান।
এ সময় নবাবগঞ্জ উপজেলা জামায়াতের আমির অ্যাডভোকেট ইব্রাহিম খলিল, সেক্রেটারি মাওলানা মোহাম্মদ আলীসহ স্থানীয় নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
তথ্যসূত্র: দৈনিক অগ্নিশিখা